Home Fish ফরাজির মানবাধিকার রক্ষায় বন জাতিসংঘের সামনে মানব বন্ধন

ফরাজির মানবাধিকার রক্ষায় বন জাতিসংঘের সামনে মানব বন্ধন

412
0
Photo: AH/SF

বন, ১৬ মেঃ প্রায় এক দশক ধরে বিনা অপরাধে প্রথমে ভারতে এবং পরে নিজ দেশ বাংলাদেশে অন্যায়ভাবে কারাগারে জীবন কাটাচ্ছেন বাদল ফরাজি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বাদল ফরাজির মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য ১৪ মে মঙ্গলবার জার্মানির বন নগরীতে অবস্থিত জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠন সেরাজী ফাউন্ডেশন এবং ইউরোপে বাংলাদেশী প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বাদল ফরাজির ঘটনাকে একটি চরম অমানবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করে ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ডস এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্ট আইসিসি ভবনের সামনে ফরাজির মুক্তির জন্য মানব বন্ধন আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার বন মানব বন্ধন ছাড়াও জার্মানির রাজধানী বার্লিন, জাতিসংঘের সদর দপ্তর জেনেভায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেল এ মানব বন্ধন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাগেরহাটে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশী নাগরিক বাদল ফরাজির মুক্তির জন্য ইতিমধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং নানাভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যাচ্ছে। এসব প্রচেষ্টার ফলেই ফরাজিকে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই ভারত সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার নিজের দেশে ফেরত নিয়ে আসে। কিন্তু তারপরেও ফরাজি এখনও কারাভোগ করছেন, যদিও একদিনের জন্য কারাভোগ করার মতো ক্ষুদ্রতম অপরাধও তিনি করেননি বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয়েছে।

মানব বন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বন থেকে প্রকাশিত জার্মান ও বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সাময়িকী “সীমান্ত” এর সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, অনলাইন গণমাধ্যম সংস্থা আওয়ার ভয়েস এর বিজ্ঞান সম্পাদক মোঃ খুরশীদ হাসান সজীব, সাংবাদিক হোসাইন আব্দুল হাই, আজিম সরকার, মাহফুজা আক্তার রুবি, মিঠুন প্রনব, ইয়াসমিন তামান্না প্রমুখ।

মানব বন্ধনে মানবাধিকার কর্মীরা বাদল ফরাজীর ঘটনা অনতিবিলম্বে খতিয়ে দেখে তাঁর মুক্তির জন্য আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান। প্রায় এক দশক ধরে তাঁর আচার-আচরণ এবং শিক্ষা-দীক্ষার ধারা থেকে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকেই অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে বাদল ফরাজি কোনধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না। এমতাবস্থায় বাদল ফরাজীর ঘটনা তদন্ত করে তাঁর মুক্তির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউরোপে বাংলাদেশী প্রবাসীরা।